গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়, বর্তমানে সকল মা বাবাই চাই তাদের
সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়। কিন্তু আমরা জানি না গর্ভাবস্থায় কোন খাবার
খেলে আমাদের সন্তান মেধাবী ও বুদ্ধিমান হবে।
পুষ্টিকর খাবারের অভাবে জন্মের পর শিশুরা মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়ে এবং
বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগে থাকে। শুধুমাত্র পুষ্টিকর খাবারের অভাবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
- গর্ভাবস্থায় ৫ টি খেলে বাচ্চা মেধাবী হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
- গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
- গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
- পরিশেষে আমার মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় বর্তমানে প্রত্যেকটি মা-বাবার একটি
স্বপ্ন থাকে তার সন্তান যেন জন্মের পর বুদ্ধিমান ও মেধাবী হোক। কেননা এখন
আমাদের খাদ্যাভ্যাস পাল্টে গেছে, লাইফস্টাইল পাল্টে গেছে এবং আমরা অনেক
ভেজাল যুক্ত খাবার খাচ্ছি। এজন্য সকল মা বাবার একটি চাওয়া থেকে হেলদি সন্তান
হওয়ার।
আরও পড়ুনঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
জন্মের পর সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হবে, এটি নির্ভর করে সম্পূর্ণ একটি মা
গর্ভাবস্থায় কি ধরনের খাবার খাচ্ছে এটির উপর। গর্ভাবস্থায়ী একটি মা যদি
পুষ্টিকর খাবার খায় তাহলে তার সন্তান একজন মেধাবী ও বুদ্ধিমান সন্তান হতে পারে।
এজন্য আপনি যদি আপনার সন্তানকে মেধাবী বুদ্ধিমান করতে চান, তাহলে অবশ্যই
গর্ভাবস্থা চালুর ৪ সপ্তাহ থেকে ৭ সপ্তাহ পর্যন্ত পুষ্টিকর ও ভিটামিন যুক্ত খাবার
খেতে হবে। কেননা ৪ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যে সন্তানের ২৫% মেধার সম্পূর্ণ হয়ে
থাকে।
এজন্য এই সময়তে এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যা সন্তানের উন্নত মস্তিষ্ক গঠনে
সাহায্য করে থাকে।প্রথমত সেটি হচ্ছে ভিটামিনযুক্ত খাবার, যেমন
দুধ, ডিম, মাছ, মাংস এগুলো খেতে হবে গর্ভাবস্থায়। এগুলো যদি আপনি খেতে
না পারেন তাহলে আরো বিভিন্ন উপায় খেতে হবে যেমন দুধ দিয়ে হালুয়া বানিয়ে খেতে
পারেন।
গর্ভাবস্থায় ৫ টি খেলে বাচ্চা মেধাবী হয়
এমন কোন পাঁচটি খাবার খেলে আপনার বাচ্চা হবে মেধাবী ও বুদ্ধিমান। সকল মায়েরই
একটি স্বপ্ন থাকে তার সন্তান মেধাবী ও বুদ্ধিমান হবে। কিন্তু এটি নির্ভর করে
সম্পূর্ণ গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্যাভ্যাসের উপর কেননা ওই সময় আপনাকে
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর ফলিক এসিড ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে।
গর্ভাবস্থায়ী আপনাকে তেল যুক্ত খাবার যেমন মাছ মাংস এগুলো খেতে পারেন। কিন্তু
আপনাকে প্রতি সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার মাছ আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে
হবে। কেননা মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে নিউট্রিশন যা আমাদের শরীরের জন্য এবং
ব্রেনের জন্য খুবই উপকারী। ওমেগা আমাদের হাটকে সচল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া
আমাদের বার্ধক্য কে প্রতিরোধ করার জন্য ওমেগা থ্রি বেশ ভালো কাজ করে থাকে। এজন্য
গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়ের সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার খাবার তালিকায় মাছ রাখতে
হবে। তাহলে তার সন্তান একজন মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে পারে।
গর্ভাবস্থায় যেসব ৫ টি খাবার খেলে আপনার সন্তান মেধাবী ও বুদ্ধিমান হবে,
সেগুলো হলোঃ
- আয়োডিন যুক্ত খাবার যেমনঃ মাছ, মাংস, জাল মাছ, শাকসবজি, খেজুর ও কলা খেতে হবে।
- রাতে ঘুমানোর আগে একমুঠো ছোলা, পাঁচটি বাদাম ও ছয়টি কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে একটু গুড়ের সাথে ভিজিয়ে খেয়ে নিবেন।
- প্রতিদিন সকালে ৫ টি তুলসী পাতা এবং ৫ টি থালকুনি পাতা চাবিয়ে খেতে হবে।
- ক্লোরিন যা সন্তানের ব্রেন্ডে কাজ করে ডিম, মাছ ও মাংস খেতে হবে। প্রতিদিন অবশ্যই এক থেকে দুইটি ডিম খেতে হবে।
- ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমরা ডাল থেকে পেয়ে থাকি।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
গর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে বাচ্চা ফর্সা হবে, প্রথমত বলে রাখি যেই বাচ্চার
শরীরে মেলারিন এর উপস্থিতি কম থাকে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে বাচ্চার বাবা-মার
জিনগত অবস্থার উপর যে তাদের গায়ের রং কেমন। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো
খেলে আপনার বাচ্চা ত্বক শরীর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও মসৃণ হবে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় আপনার বাচ্চা গায়ের রং উজ্জ্বল
অথবা ফর্সা হতে পারে। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় ভিটামিন এ খান তাহলে আপনার বাচ্চার
শরীর উজ্জ্বল হতে পারে। যেমন আপনি যদি দুধ অথবা দুধ জাতীয় খাদ্য খান এবং
কিসমিস ও বাদাম খান। তাহলে আপনার বাচ্চার শরীর উজ্জ্বল ও মসৃণ এবং মেধাবী হতে
পারে। কেননা দুধ, বাদাম, কিসমিস ও খেজুরি অনেক পরিমাণ ভিটামিন থাকে। যা
গর্ভাবস্থায় শিশুর শরীল রক্ষণাবেক্ষণ করতে সহায়তা করে। এজন্য গর্ব অবস্থায়
সবসময়ই পুষ্টিকর ভিটামিনযুক্ত খাবার চেষ্টা করবেন।
এমনকি ফল আপনি যদি গর্ভাবস্থায় বেশি করে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন রঙের ফল খান।
তাহলে আপনার বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা উজ্জ্বল ও মসৃণ হতে পারে। এজন্য
গর্ভাবস্থায় বেশি করে ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন, এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি
খেলে আপনার বাচ্চার মেধা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার সন্তানের শরীর উজ্জ্বল হতে
পারে। কেননা সন্তান ফর্সা হবে এটি নির্ভর করে সম্পন্ন তার বাবা-মা জীনগত
রঙের ওপর।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
গর্ভাবস্থায় মা কি খেলে বাচ্চা লম্বা হবে, বাচ্চা জন্মের পর লম্বা হবে কি খাটো
হবে এটি নির্ভর করে সম্পূর্ণ বাচ্চার জেনেটিক হারমোন এর উপর। প্রতিটি বাবা-মা
চিন্তা করে তার সন্তান জন্মের পর লম্বা হবে নাকি খাটো হবে। কেননা বর্তমান এই
যুগে অধিকাংশ মানুষ খাটো হচ্ছে, এজন্য বাচ্চা গর্ভে আসার পর সকল বাবা এটি নিয়ে
চিন্তা ভাবনা করে।
বর্তমানে এমন অনেক মা বাবা আছে যারা লম্বা কিন্তু তার সন্তান খাটো হয়ে থাকে।
আবার কিছু মা-বাবা আছে যারা খাটো কিন্তু তাদের সন্তান লম্বা হয়ে থাকে। এটি
সাধারণত জেনেটি হারমোনের ওপর নির্ভর করে না। বাচ্চার বেড়ে ওঠার অথবা লম্বা
হওয়ার জন্য সবসময় মা-বাবাকে সচেতন থাকতে হবে। এমন কিছু বাচ্চা আছে যাদের
জেনেটিক হারমনে কোন সমস্যা নেই কিন্তু সে খাটো। এরা সাধারণত সঠিক পুষ্টির
অভাবে ভুগে থাকে, এজন্য অনেক বাচ্চারা খাটো হয়ে থাকে। এজন্য সকল মা বাবার
উচিত সঠিক সময় সেই পুষ্টি দেওয়ার তাহলে বাচ্চা লম্বা হবে।
গর্ভাবস্থায় থাকা কালীন আপনাকে পোস্ট করার খাবার দিতে হবে। এবং সব সময়
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় আপনাকে দুই মাস পর পর বাচ্চার ওজন ও বেড়ে ওঠার
চেকআপ নিয়মিত করতে হবে। তাহলে আপনার বাচ্চা বা সন্তান সঠিক ভাবে বেড়ে
উঠবে।
গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়, এটি আপনারা অনেকেই জানেন না বলে অনেকজনই
খালি পেটে থাকেন। কিন্তু গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটা
হয়তো আপনারা জানেন না। আপনি যদি না খেয়ে পেটকে খালি করে রাখেন তাহলে সেই
প্রভাবটি আপনার পেতে থাকা বাচ্চার উপর পড়বে।
আরও পড়ুনঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি না খেয়ে খালি পেটে থাকেন তাহলে আপনার পেটে থাকা বাচ্চার উপর সেই
প্রভাবটি পড়বে এবং আপনার বাচ্চার শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।
এজন্য অনেক শিশু জন্মের পর বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আপনারা
সবসময় চেষ্টা করবেন গর্ভাবস্থায় যেন আপনার পেট খালি না থাকে। কিছু খাওয়ার মন
না চাইলে হালকা হালকা করে খেতে হবে। যেন আপনার পেট কখনো খালি না হয়।
গর্ভাবস্থায় সবসময় বেশি করে পানি অথবা পানি জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা
করবেন। তাহলে আপনার সন্তানের অক্সিজেনের ঘাটতি পরবে না এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ
সবল ভাবে গড়ে উঠতে পারে।
এজন্য সবসময়ই চেষ্টা করবেন গর্ভবস্থায় যেন আপনার পেট সবসময় ভর্তি থাকে।
তাহলে আপনার বাচ্চাও সুস্থ থাকবে। গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
এর ফলে আপনার বাচ্চা মেধাবৃত্তি পাবে এবং বাচ্চার শরীর উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে।
গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করবেন।
এর ফলে আপনার বাচ্চা শরীর স্বাস্থ্য সঠিকভাবে গড়ে উঠবে।
গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায়ী পানি কম খেলে যে সব ধরনের সমস্যা দেখা দেই যেমন বমি বমি ভাব, হাত
চাবানো ও কষ্ট কাঠিন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে আপনার বাচ্চার বিভিন্ন
ধরনের সমস্যা হতে পারে। কেননা আপনি যদি বেশি করে পানি পান করেন। তাহলে
আপনার বাচ্চা পেটে ভাসমান অবস্থায় থাকে, এর ফলে অক্সিজেন ভালো পায়।
একজন গর্ভবতী নারীর প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ গ্লাস পানি পান করা দরকার। এমনকি আপনি
যদি শুধু পানি পান করতে না পারে, তাহলে বিভিন্ন ধরনের পানীয় জাতীয় খাদ্য খেতে
পারেন। এর ফলে আপনার শরীরে পানির চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ হবে। তার ফলে আপনার
বাচ্চা সুস্থ সবল ভাবে বেড়ে উঠতে পারবে। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় সঠিক নিয়মে
পানি পান করেন, তাহলে বাচ্চা জন্মের সময় বাচ্চা নরমালে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
অনেক বেশি থাকে। কেননা পানি খেলে পেটে বাচ্চা ভাসমান অবস্থায় থাকে। এজন্য
গর্ভধারণের সময় বাচ্চা খুব সহজে হয়ে যায়।
গর্ভবস্থায়ী পানি সন্তানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনিতেও
আপনারা জানেন পানির অপর নাম জীবন। সকল মানুষের বেশি করে পানি পান করা
অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পানি পান করলে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য খুব সহজে দূর হয়ে
যায়। পানি খেলে আমাদের শরীরের লিভার অনেক ভালো থাকে, এর ফলে গর্ভাবস্থায় যদি
বেশি করে পানি পান করে। তাহলে বাচ্চা জন্মের সময় লিভারে যে ব্যথা হয়
সেটি আর হয় না।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায়ী আপনার কি কি ফল খাওয়া উচিত, গর্ভাবস্থায় আপনার ভিটামিন যুক্ত
খাবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনারা শুনে থাকবেন ডাক্তারি পরামর্শ
অনুযায়ী ডাক্তাররা বলে বাচ্চা গর্ভে আসার পর থেকে একজন গর্ভবতী নারীর দুইজন
মানুষের সময় খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কি কি খাওয়া প্রয়োজন।
ডাক্তারি প্রমোশন অনুযায়ী একজন গর্ভবতী নারী খুব বেশি পরিমাণ খেতে হবে। এজন্য
তারা ভয় থাকে একজন নারী গর্ভধারণ পর দুইজন মানুষের সমান খেতে হবে। কেননা একজন
গর্ভবতী মা যখন খাই তখন সেই খাদ্য তার পেটে থাকা বাচ্চা খেয়ে বেঁচে থাকে।
এজন্য বলা হয় খুব বেশি পরিমাণ খেতে তাহলে বাচ্চা সুস্থ সবল থাকবে।
গর্ভাবস্থায় একজন নারী প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন প্রয়োজন। এজন্য আপনার প্রতিদিন
বিভিন্ন ধরনের ফলমূল শাকসবজি খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় সেরা ১০ টি ফল খাওয়া উচিত সেগুলো হলোঃ
- কমলালেবুঃ কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। যা উচ্চচাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে, যা যা গর্ভাবস্থায় মা ও সন্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- আঙ্গুরঃ পুষ্টিগুণী ভরপুর হচ্ছে আঙ্গুর এবং এটিতে বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান রয়েছে। যেমন ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ভিটামিন বি ইত্যাদি রয়েছে। যেটি গর্ভবস্থায় মা এবং বাচ্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- কলাঃ ফলের ভিতর শীর্ষে রয়েছে কলা যাতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যেটি আপনার শিশুর স্নায়ুগত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করবে।
- পেয়ারাঃ পুষ্টিগুনে ভর্তি এই পেয়ারা যা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- আমঃ আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে, যা গর্ভাবস্থায়ী মায়ের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- স্ট্রবেরিঃ স্টোরিতে ভিটামিন ফাইবার রয়েছে, এছাড়াও স্ট্রবেরিতে পটাশিয়াম রয়েছে। যা আপনার এবং আপনার বাচ্চার জন্য উপকারী।
- তরমুজঃ তরমুজে ভিটামিন এ ভিটামিন সি রয়েছে, যা আপনার পেটের গ্যাসের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
- আপেলঃ আপেল হচ্ছে গর্ভাবস্থায় জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপেল খেলে বাচ্চার মেধা বুদ্ধির বিকাশ ঘটে, এবং উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।
- আদাঃ আদতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ভিটামিন সি রয়েছে, যা শিশুর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ আদা চোখ শরীর ত্বক গঠনে সাহায্য করে।
-
ডালিমঃ ডালিমে অনেক ধরনের ক্যালসিয়াম প্রোটিন ও ভিটামিন সি রয়েছে যা
গর্ভাবস্থায় মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়
আপনারা অনেকেই জানেন তেঁতুল খেলে মানুষের শরীরে রক্ত পরিষ্কার হয়ে থাকে। কিন্তু
একজন গর্ভবস্থায়ী মায়ের জন্য কতটুকু তেতুল খাওয়া উচিত এটা জানেন না। একজন
গড়বস্থায়ী মায়ের জন্য প্রতিদিন ১০ গ্রাম তেতো খেতে পারেন। কিন্তু আপনি
যদি ১০ গ্রামের বেশি খেয়ে ফেলেন। তাহলে আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে
পারে।
গর্ভাবস্থায় থাকা অবস্থায় কাদের তেঁতুল খাওয়া উচিত এবং কাদের তেতুল খাওয়া
উচিত না। চলুন বিস্তারিত জানা যায়। এজন্য অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন। একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য তেতুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কেননা তেঁতুল খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে। এখন প্রায়
অধিকাংশ মানুষই এই কষ্ট কাঠিন্য এর রোগে ভোগে থাকে। যাদের প্রেসার লো তাদের
জন্য তেঁতুল খাওয়া যাবে না। কেননা তেতো রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
তেতুল খাওয়ার নিয়ম, আপনারা অনেকেই আছেন যারা তেতুলের আচার খেয়ে থাকেন। তেতুলের
আচার অথবা বিভিন্ন দোকানে ফুচকা সাথে মসলা মেশানো আচার সেগুলো খেলে আপনার এর
বিপরীত হতে পারে। এজন্য অবশ্যই তেতুল এমনি খাওয়ার চেষ্টা করবেন অথবা পানিতে
ভিজিয়ে রেখে হালকা লবণ দিয়ে খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
গর্ভাবস্থায় কি কাজ করা নিষেধ, আপনারা অনেকেই জেনে থাকবেন। গর্ভাবস্থায় একজন মা
অনেক কষ্ট করে সাবধানে চলাফেরা করতে হয়। গর্ভাবস্থায় আপনি যদি কোন কাজ করেন
তাহলে অবশ্যই অনেক সাবধানে করতে হবে। কেননা আপনার শুধুমাত্র একটু ভুলের কারণে
আপনার পেটে থাকা বাচ্চার অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
প্রতিটি গর্ভবতী মার উচিত তার সন্তানকে সুস্থ সবল রাখার। গর্ভস্থায় শক্ত অথবা
ভারী ধরনের কোন কাজ করা যাবে না। অর্থাৎ ভারী কোন জিনিস ছাড়া যাবে না। এবং
সাবধানে চলাফেরা করতে হবে যাতে আপনার বাচ্চা সঠিকভাবে গঠিত হতে পারে। আপনি যদি
কোথাও পড়ে যান অথবা আপনার পেটে কোনভাবেই আঘাত পেয়ে থাকে। তাহলে অতি শীঘ্রই
ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন কেননা এমন অনেক কিছু ভুলের কারণে বাচ্চা জন্মের পর
বিভিন্ন ধরনের সমস্যার লক্ষণ দেখা দেয়। এজন্য দীর্ঘ ৯ মাস সাবধানে সচেতন ভাবে
চলাফেরা করার চেষ্টা করবেন।
পরিশেষে আমার মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়, একজন গর্ভবতী নারী তার গর্ভে
সন্তানকে কিভাবে সুস্থ সবল ভাবে গড়ে তুলবে, সেই বিষয়ে সকল বিস্তারিত তথ্য
সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। গর্ভাবস্থায় থাকা অবস্থায় প্রতিটি নারীর উচিত
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দীর্ঘ নয় মাস চলতে হবে। এর ফলে আপনি এবং আপনার
বাচ্চা দুজনেই সুস্থ সবল থাকতে পারবেন।
উপরে আলোচনা করা হয়েছে গর্ভাবস্থায়ী শিশুর সকল যত্নের কথা। কিভাবে আপনার শিশু
জন্মের পর মেধাবী ও বুদ্ধিমান হবে এবং আপনার বাচ্চা গর্ভাবস্থায়ী থাকাকালীন আপনি
আপনার বাচ্চার শরীর কিভাবে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে তুলবেন।
গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন অবশ্যই দুই মাস পর পর ডাক্তারি পরামর্শ নিতে
হবে।
শফ্টব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url