চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার ১০টি কার্যকরী উপায়

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার আমাদের দেশের প্রায় ৯০% মানুষ চুলের সমস্যায় ভুগছেন। এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের অসময়ে মাথার চুল ঝরে পড়ে যাচ্ছে। আপনারা অনেকেই চুলের যত্নের জন্য অনেক কিছুই করে থাকেন।

চুলের-যত্নে-কারি-পাতার-ব্যবহারকিন্তু আপনার আশপাশে প্রকৃতি গাছপালা থেকে আপনি খুব সহজে চুল ঝরা কমাতে পারবেন। কারি পাতা ব্যবহার করে আপনি আপনার চুলের যত্ন নিতে পারবেন। এমনিতেও কারি পাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

পোস্ট সূচিপত্রঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার এর উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কারি পাতা অনেকেই চিনে থাকবেন, আমরা অনেকেই কারি পাতা খাবার তরকারি সাথে দিয়ে থাকি। এই কারি পাতাই অনেক গুনাগুন রয়েছে, যা আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। কারি পাতায় ভিটামিন এ, বি ও সি অনেক প্রোটিন থাকে। এজন্য কারি পাতা আমাদের জন্য খুবই উপকারী এজন্য আপনারা খাওয়ার পাশাপাশি মাথায় লাগানোর চেষ্টা করবেন।

কিন্তু আজকে আমরা কারি পাতার একটি দিক নিয়ে কথা বলবো। আপনারা চুলের যত্নে কিভাবে কারি পাতা ব্যবহার করবেন। এই বিষয়ে আজকে বিস্তারিত জানতে পারবেন, এই জন্য অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। আপনারা এই কারি পাতা আপনার আশপাশে প্রকৃতি থেকে পেয়ে থাকবেন। এই কারি পাতা দেখতে একদম নিম পাতার মত। এই কারি পাতা কে অনেকেই মিষ্টি পাতা বলে থাকে। কারি পাতার গাছ বেশিরভাগ সময় বাগানে অথবা জঙ্গলে বেশি দেখা যায়।

কারি পাতা ব্যবহার এর ফলে আমরা আমাদের চুলের যত্ন নিতে পারি। কারি পাতা আমাদের চুলের অনেক উপকার করে থাকে, এজন্য প্রায় অধিকাংশই মানুষ কারি পাতা ব্যবহার করে থাকে। কারি পাতা গাছ আমাদের আশপাশে হয়ে থাকে, অনেকেই আছে যারা কারি পাতার গুরুত্ব বুঝি তারা বাসায় কারি পাতার গাছ লাগিয়ে রাখি। এর ফলে আমাদের প্রয়োজনীয় সঠিক সময়ে ব্যবহার করতে পারি। আপনাদের সকলের উচিত একটি করে কারি পাতার গাছ বাসায় লাগানো।

কারি পাতা গাছ  কোথায় পাওয়া যায়

কারি পাতার নাত কোথায় পাওয়া যায় এটি অনেকেই জানেন না? কারি পাতার গাছ আমাদের প্রকৃতির মাঝে পাওয়া যায়। কারি পাতা আমাদের শরীরের প্রায় অনেক উপকার করে থাকে, এজন্য কারি পাতার ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। কারি পাতা গাছ বেশিরভাগ আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি করতে কাজে লাগে। কেননা কারি পাতা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। এমন আরো অনেক রোগ আছে যেগুলো কারি পাতার মাধ্যমে সমাধান করা যায়।

কারি পাতার গাছ কোথায় পাওয়া যায়, এই প্রশ্নটি জানার জন্য আপনারা এই পোস্টটি পড়ছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কারি পাতা গাছ কোথায় পাবেন। গাড়ি পাতার গাছ আপনার বাসার আশপাশে হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা সেটি খোঁজার চেষ্টা করি না, এজন্য কারি পাতা গাছ খুঁজে পাই না। কারি পাতার গাছ বেশিরভাগই সবজি বাগানে হয়ে থাকে। কারি পাতার গাছ বাঁশের ঝাড় হয়ে থাকে, এমনকি বেশিরভাগ সময় আপনাদের আশপাশে জঙ্গলে পেয়ে থাকবেন।

কারি পাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এইজন্য কারি পাতা গুরুত্ব অনেক, যতদিন যাবে আস্তে আস্তে কারি পাতার চাহিদা বাড়তেই থাকবে। কেননা কারি পাতা ব্যবহার করে আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি করা হয়। যেহেতু আপনারা বুঝতেই পেরেছেন কারি পাতার গুরুত্ব কতটুকু। এজন্য আপনারা চেষ্টা করবেন, কারি পাতার গাছ বাসায় লাগানোর চেষ্টা করবেন। এমনিতেও গাছ লাগানো অনেক ভালো কাজ এইজন্য বেশি বেশি করে গাছ লাগানোর চেষ্টা করবেন।

কারি পাতা গাছ চেনার উপায়

কারি পাতা গাছ চেনার উপায় আজকে আপনারা এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। কিভাবে আপনারা কারি পাতা চিনতে পারবেন। কারি পাতা অনেকটাই নিম পাতার মতো হয়ে থাকে, কিন্তু এটিকে অনেক জনই বিদেশি নিমপাতা বলে থাকে। কিন্তু এটি বিদেশি নিম পাতা না, বিদেশি নিমপাতা আলাদা হয়ে থাকে। এজন্য সব সময় ভালোভাবে দেখে শুনে কারি পাতা ব্যবহার করবেন। তাহলে আপনি এই পাতার সঠিক গুনাগুন বুঝতে পারবেন।

কারি পাতা আপনারা কিভাবে চিনবেন, কারি পাতা দেখতে নিম পাতার মতো হলেও কারি পাতা আকারে কিছুটা ছোট ও ঘন হয়ে থাকে। কারি পাতায় এক ধরনের সুগন্ধ থাকে, আর্মিতেও কারি পাতায় তেলাকৃত উপাদান থাকার কারণে এই গাছটির পাতা অনেক ঝলঝলে হয়ে থাকে। কিন্তু কারি পাতা ডালের শেষ দিকে ফুল ফোটার সময় ফুলগুলো সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। কারি পাতা ফুল সাদা হলেও ফলগুলো সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। কিন্তু ফলগুলো পাকলে এর রং বেগুনি কালার অথবা কালচে বেগুনি রঙে হয়ে থাকে।

আপনি যদি এরপরেও কারি পাতা চিনতে না পারেন, তাহলে আপনার আশপাশে যেসব সবজির বাজার বসে সেই ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে জেনে নিতে পারেন। কেননা এই কারি পাতা রান্নার কাজেও লেগে থাকে। আপনি যদি এই কারি পাতা তরকারিতে দুই থেকে তিনটি পাতা দেন, তাহলে তরকারির সাদ অনেকটা বেড়ে যায়। এবং আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। আশা করি এবার আপনি কারি পাতা চিনতে পারবেন।

কারি পাতা ব্যবহারে চুলের ৬ টি উপকারিতা

কারি পাতা ব্যবহার করে আমরা আমাদের চুলের অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারি। কারি পাতায় এমন অনেক গুন প্রোটিন ভিটামিন আছে যেগুলো আমাদের চুলকে শক্ত ও মজবুত করে থাকে। এজন্য আমরা অনেকেই চুলের যত্নের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু চুলের সমস্যার সমাধান করতে পারি না। এজন্য আপনাদের উপকারের জন্য আমরা কারি পাতার ব্যবহার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে থাকি।

আজকে আপনাদের এমন কয়েকটি ট্রিক বলবো যেগুলো থেকে আপনাদের অনেক উপকারে লাগবে। আর চুলের সকল সমস্যার জন্য কারি পাতা ব্যবহার করে আপনার চুলকে শক্ত ও মজবুত করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন, তাহলে সকল ট্রিক্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কারি পাতা ব্যবহার করে আমরা যে ধরনের উপকার পেয়ে থাকি নিচে সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কারি-পাতা আমাদের কি কি উপকারে লাগে। তাহলে আপনি আপনার চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার করতে পারবেন।

কারি পাতা ব্যবহার করে আমরা ৬ টি উপকার পেয়ে থাকি, সেগুলো হলোঃ 

  • চুল বৃদ্ধি করে
  • চুলের খুশকি দূর করে
  • চুলকে ঝলমলে করে
  • চুল পড়া রোধ করে
  • চুল পাকা দূর করে
  • চুলের গোড়া মজবুত করে

কারি পাতা ও টক দই হেয়ার মাক্স তৈরি

কারি পাতা ও টক দই হেয়ার মাক্স তৈরি করে আপনি আপনার চুলকে শক্ত মজবুত করে তুলতে পারবেন। আজকে আপনাদের জানাবো আপনারা কিভাবে কারি পাতা ও টক দই দিয়ে হেয়ার মাক্স তৈরি করবেন। কারি পাতা দিয়ে হেয়ার মাক্স তৈরি করার জন্য প্রথমেই আপনি কে হেয়ার মাক্স তৈরি করার যাবতীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে হবে। তাহলে আপনি আপনার চুলের জন্য ভালো একটি হেয়ার বক্স তৈরি করতে পারবেন।
চুলের-যত্নে-কারি-পাতার-ব্যবহার
কারি পাতার হেয়ার মাক্স তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ছোট্ট বাটি নিতে হবে। আপনার সেই বাটিতে ১ বাটি কারি পাতা নিতে হবে, এবং সেই কারি পাতা প্রথমে অবশ্যই পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর পাতাগুলো হালকা বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। কিন্তু রোদে শুকানো যাবে না এটি অবশ্যই মাথায় রাখবেন। কেননা আপনি যদি পাতাগুলো রোদে শুকাল তাহলে পাতাগুলো ঝলসে যাবে, এজন্য অবশ্যই বাতাসের মাধ্যমে শুকাতে হবে। আপনার যদি দ্রুত প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনি নরম কাপড় দিয়ে চেপে শুকিয়ে নিতে পারেন।

শুকানো হয়ে গেলে আপনার একটি মিকচার অর্থাৎ ব্লেন্ডার প্রয়োজন হবে। আর আপনার যদি ব্লেন্ডার না থাকে তাহলে আপনি পিস্নি মাধ্যমে পিসে নিতে পারেন। অর্ধেক মিকচার হয়ে গেলে আপনাকে অবশ্যই ৩ থেকে ৪ চা চামুচ টক দই প্রয়োজন হবে। আপনার যদি টক দই না থাকে তাহলে, আপনার বাসায় অবশ্যই দুধ থাকবে সেটাতে কিছু পরিমাণ লেবু দিলে টক দই তৈরি হয়ে যাবে। দুইটি জিনিস একসাথে ব্লেন্ড করে নিলে ই আপনার হেয়ার মাক্স তৈরি হয়ে যাবে। হেয়ার মাক্স আপনি আপনার পুরো মাথায় চুলের গোড়ালি পর্যন্ত লাগিয়ে দিবেন।

কারি পাতার তেল তৈরির উপায়

কারি পাতার তেল তৈরি করবেন কিভাবে? কারি পাতার তেল তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে কিছুটা কারি পাতা নিতে হবে। এরপর সেই গাড়ি পাতাগুলোকে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকানো হয়ে গেলে আপনার একটি ব্লেন্ডার মেশিন অবশ্যই থাকা লাগবে। কেননা রেন্ডার মেশিন ছাড়া মিকচার ভালো হয় না। এইজন্য ভালো ভাবে ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে কারি পাতার তেল তৈরি করবেন। তাহলে আপনার চুলের জন্য অনেক উপকারী তেল হবে।

বাতাসে শুকানো সেই পাতাগুলো আপনি আপনার ব্লেন্ডার মেশিন এর বাটি টিতে ঢালুন এবং কারি পাতার সাথে অবশ্যই কাল জিরা দিতে হবে। কেননা এটি না দিলে আপনার তেল পরিপূর্ণভাবে তৈরি হবে না অথবা কাজে আসবে না। দুটো জিনিস মিশ্রণ হয়ে গেলে তারপর কিছুটা পরিমাণ নারিকেল তেল দিতে হবে। আর আপনারা জানেন নারিকেল তেল আমাদের অনেক উপকার লেগে থাকে। এজন্য অবশ্য নারিকেল তেল ব্যাবহার করতে হবে। তাহলে আপনার কারি পাতা তেলটি আপনার চুলের জন্য অনেক উপকার লেগে থাকবে।

কারি পাতা ব্লেন্ডারি মিকচার হয়ে গেলে আপনি একটি পাতিলে সেগুলো ঢেলে নিবেন। ঢেল নেওয়া হয়ে গেলে আপনি যতটা পরিমাণ কারি পাতা দিয়েছেন তার থেকে তিন গুণ বেশি নারিকেল তেল দিতে হবে। তারে। সেই পাতিলটি চুলাই অথবা কারেন্টের চুলাই বসিয়ে দিবেন, আস্তে আস্তে তাপ দিবেন যেন পুরে না যায়। যদি পুড়ে যায় তাহলে আপনার তেলটি পরিপূর্ণভাবে তৈরি হবে না। দেখবেন যখন আপনার তেলটি সবুজ বর্ণের ভয়ে থাকবে তখনই ভাববেন আপনার তেলটি পরিপূর্ণভাবে তৈরি হয়ে গেছে।

ঘন কালো চুলের জন্য কারি পাতা খাবার নিয়ম

ঘন ও কালো চুলের জন্য আপনি কারি পাতা সঠিক ভাবে খাবার নিয়ম। আপনারা অনেকেই জানেন কারি পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু প্রয়োজন। কারি পাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি পাতা। এজন্য অবশ্যই আমাদের সকলের প্রয়োজন একটি করে হলেও কারি পাতার গাছ লাগানো। কেননা কারি পাতার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষেরই চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

কারি পাতা খাবার সঠিক নিয়ম, আপনি কারি পাতা বিভিন্ন ধরনের তরকারির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। কারি পাতা রোদে শুকিয়ে সেটিকে ব্লেন্ডারের মাধ্যমে পাউডার করে নিয়ে একটি কাঁচের বোতলে ভালো করে রাখবেন। এর ফলে আপনি আপনি আপনার রান্নার তরকারি সাথে হালকা হালকা করে পাউডার তরকারিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক নিয়ম আছে, পুদিনা পাতা ও কারি পাতা সাথে বাটার দুধ মিশিয়ে খেতে পারেন। আপনি যদি চান কারি পাতা সিদ্ধ করে তরকারির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

আর এমনি তো আপনার জানেন কারি পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের সকল ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে। কারি পাতায় এমন অনেক গুন আছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এজন্য আপনারা সকলেই কারি পাতা খাবার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার চুল ঝরা এবং চুল কালো ও চুলের গোড়ালি মজবুত করবে।

কারি পাতা চুলের যত্নে সপ্তাহে কতবার ব্যবহার করবেন

কারি পাতা আপনারা সপ্তাহে কতবার ব্যবহার করবেন? আপনি যদি আপনার চুলের যত্নের জন্য কারি পাতা ব্যবহার করেন। তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার কারি পাতা ব্যবহার করেন। আপনি আপনার চুলকে শক্ত ও মজবুত করে তুলতে পারবেন। আপনার কোন ধরনের ঔষধ অথবা কোন চিকিৎসকের প্রয়োজন হবে না। ঘরোয়া উপায় আপনি আপনার চুলের যত্ন করতে পারবেন।

চুলের যত্নের জন্য কারি পাতা আমাদের চুলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। চুলের যত্নের জন্য আমরা কারি পাতা ব্যবহার করে থাকি। কারি পাতার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে, কেননা আমাদের দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষই চুলের সমস্যায় ভুগছে। কারি পাতা ব্যবহার করলে আপনি আপনার চুলকে খুশকি মুক্ত চুল করতে পারবেন। আপনারা অনেকেই জানেন মাথায়াই খুশকি হওয়ার কারণে আমাদের মাথার চুল পড়ে যায়। কেননা খুশকি হলে আমাদের মাথার চুলের গোড়ালি অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে চুলে হালকা চাপ পেলেই চুল সহজে মাথা থেকে ঝরে পড়ে যায়।

চুল ঝরে যাওয়ার কারণ কি

অল্প বয়সে চুল ঝরে যাওয়ার কারন কি? এটি প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই প্রশ্ন আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনার চুল ঝরে যাওয়ার মূল কারণ কি? চুল ঝরে যাওয়া অথবা , পড়ে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেগুলোর ফলে আমাদের চুল খুব তাড়াতাড়ি ঝরে পড়ে যায় অথবা পেকে যায়, এগুলো প্রায় অনেক মানুষেরই হয়ে থাকে। বায়ু দূষণের কারণে অনেক মানুষের চুল ঝরে যায় এমন আরো অনেক সমস্যা আছে যেগুলোর জন্য চুল ঝরে পড়ে যায়।
চুলের-যত্নে-কারি-পাতার-ব্যবহার
আপনারা অনেকেই জানেন এমন অনেক ক্ষতিকর পানি আছে যেগুলো আমরা ব্যবহার করে থাকি। বিষাক্ত আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহারের ফলে আমাদের চুল খুব সহজে দুর্বল হয়ে ঝরে পড়ে যাই। আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে আমাদের চুল ঝরে পড়ে যায়। এজন্য অবশ্যই আপনারা সব সময় পুষ্টিকর খাবার খাবেন। আর সব সময় চেষ্টা করবেন আয়রন মুক্ত পানি ব্যবহার করার তাহলে আপনার চুল ভালো রাখতে পারবেন। কেননা একটি মানুষের সৌন্দর্য শুধুমাত্র তার চুল, ছাড়া আপনাকে কখনো সুন্দর দেখাবে না। এজন্য অবশ্যই আপনারা সকলে কারী পাতা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

পরিশেষে আমার মন্তব্যঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার করে আপনি আপনার চুলের এবং আপনার শরীরের ও ত্বকের বৃদ্ধি করতে পারবেন। আর এজন্যই কারি পাতায় আমরা সকলেই ব্যবহার করে থাকি। আশা করি আপনারা উপরের পোস্টটি পড়ে জানতে পেরেছেন। কিভাবে কারি পাতা ব্যবহার করবেন, এমনিতেও আপনি কারি পাতা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে খেতে পারি।

আজকে আমরা কথা বলেছি কারি পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন, এবং আপনার চোখের যত্ন কিভাবে ব্যবহার করবেন। কারি পাতা অনেক গুনাগুন থাকাই আমাদের শরীরের সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তাকে চলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থেকে এই কারি পাতা। আপনার যদি চুলের সমস্যা থেকে তাহলে অবশ্যই এই কারি পাতা ব্যবহার করবেন উপরের নির্দেশ গুলো অনুযায়ী।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শফ্টব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url