ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান প্রক্রিয়া ও গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান কিভাবে করবেন, বর্তমান যুগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অনেক সহজ করে দিয়েছে। কেননা এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে সকল ধরনের কাজ করা যায়, যেমনঃ ই পর্চা ব্যবহার করে সম্পত্তি কেনা-বেচা হস্তান্তর এমনকি আইনগত বিভিন্ন কাজে খতিয়ান অনুসন্ধান করা যায়।
ই-পর্চা-খতিয়ান-অনুসন্ধান-প্রক্রিয়া-ও-গুরুত্বপূর্ণ-দিকসমূহ
ই পর্চা ব্যবহারের ফলে আমরা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে জমির দলিল পত্র, খতিয়ান, দাগ নম্বর ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারি। আজকে আমরা এই পোস্টটির মধ্যে আলোচনা করব, আপনি কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে খতিয়ান সহ বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র অনুসন্ধান করবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান হচ্ছে বাংলাদেশের একটি আধুনিক প্রক্রিয়া। ই পর্চা ব্যবহারের ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজ যেমন, জমির খতিয়ান, জমি ভেজা-কেনা এবং এবং জমির দাম নম্বর ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে এই  ই পর্চা ব্যবহার করা হয়। কেননা ই পর্চা আমাদের বাংলাদেশের একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেখানে আমরা খুব সহজে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে জমির সংক্রান্ত সকল তথ্য, জমির রেকর্ড সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারি।
ই পর্চা ব্যবহার ভুলে আমাদের দৈনন্দিন জীবন দিন দিন অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে। কেননা আগে মানুষ নিজের জমির প্রয়োজনীয় তথ্য, রেকর্ড, জমির দাগ নম্বর ইত্যাদি। কাগজপত্র নেওয়ার জন্য মানুষ ভূমি মন্ত্রণালয় এছাড়াও বিভিন্নভাবে কাগজ পত্র নিয়ে থাকতো। কিন্তু এখন আমাদের দেশে এই ই পর্চা ব্যবহার করে খুব সহজেই আমরা চাইলে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে জমির সংক্রান্ত সকল ধরনের কাগজপত্র ডকুমেন্ট বের করতে পারি। আপনি যদি আপনার জমির প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বের করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। নিজে ই পর্চা ব্যবহারের নিয়মাবলী বিস্তারিতভাবে দেখিয়ে দেওয়া হলোঃ

ই পর্চা ওয়েবসাইট থেকে ডকুমেন্ট বের করার নিয়ম

ই-পর্চা-খতিয়ান-অনুসন্ধান
  • প্রথমে আপনাকে ই পর্চা লিখে যে ওয়েবসাইটটি আসবে, সেই ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে। অবশ্যই আপনাকে ওয়েব সাইটে লোগো দেখে ঢুকতে হবে।
  • আপনার জমির সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে, যেমনঃ মৌজা, জমির দাগ নম্বর এবং আপনার ঠিকানা ইত্যাদি সঠিক নিয়মে দিতে হবে।
  • এরপর আপনাকে জমির পরিমাণ, সম্পত্তি মালিকের নাম এবং সম্পত্তি মালিকানা অবস্থান ইত্যাদি দিতে হবে।
  • সকল তথ্য সঠিক নিয়মে পূরণ করার পর ডাউনলোড অথবা প্রিন্ট করে বের করে নিতে পারেন।

সার্ভে খতিয়ান ডাউনলোড ২০২৫

সার্ভে খতিয়ান ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। কেননা অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ অথবা পিসি দিয়ে খুব সহজে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কিভাবে ডাউনলোড করবেন, কি কি তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে। সকল কিছু বিস্তারিত ভাবে আপনাকে আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে দেখানো হবে। এজন্য আপনাকে পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

সার্ভে খতিয়ান ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার স্মার্টফোন অথবা ল্যাপটপে google ক্রমে গিয়ে dlrms.land.gov.bd লিখে ওয়েবসাইটে সার্চ করুন। প্রথমেই যে ওয়েবসাইটটি আসবে সেই ওয়েব সাইটে আপনাকে ক্লিক করে ঢুকতে হবে। নিচে ওয়েব সাইটে সার্ভে খতিয়ান ডাউনলোড করা নিয়ম বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করে দেওয়া হলোঃ
সার্ভে-খতিয়ান-ডাউনলোড-২০২৫

সার্ভে খতিয়ান ডাউনলোড করার ধাপ ও নিয়মাবলী

  • বিভাগঃ আপনি যেই বিভাগ থেকে আপনার সার্ভে খতিয়ান ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন। সেই বিভাগ সিলেক্ট করে দিতে হবে।
  • জেলাঃ আপনি কোন বিভাগের কোন জেলায় বসবাস করে। সেই জেলা মার্ক করে দিতে হবে।
  • উপজেলা/থানাঃ আপনি যে জেলার থানা অথবা উপজেলায় বসবাস করেন। সেই থানা অথবা জেলা সিলেট করে দিতে হবে।
  • খতিয়ানের ধরনঃ আপনি কোন ধরনের খতিয়ান নিতে চাচ্ছেন। সেই খতিয়ান সিলেক্ট করে নিতে হবে যেমনঃ বি আর এস, এস এ, আর এস, সি এস যেটি নিতে চান, সেটি আপনাকে সিলেক্ট করে দিতে হবে।
  • মৌজাঃ আপনি কোন মজায় বসবাস করেন নিচে অপশন থেকে বাছাই করে দিতে হবে।
  • খতিয়ানের তালিকাঃ সকল কিছু তথ্য দেওয়ার পর আপনার খতিয়ানের তালিকা আসবে এবং সেখানে আপনার নাম দেখানো হবে। যদি আপনার নাম না আসে তাহলে সার্চ করে নিয়ে আসতে পারেন।
সার্ভে-খতিয়ান-ডাউনলোড-২০২৫

সার্ভে খতিয়ান ডাউনলোড সম্পর্কে আশা করি আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। বর্তমানে দিন দিন আমাদের দেশ অনেক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগে কিন্তু ভূমি অফিস এইসব ধরনের কাগজপত্র ডকুমেন্ট তুলতে হতো। কিন্তু এখন আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন ল্যাপটপ কম্পিউটার ব্যবহার করে বসে আপনি আপনার জমির খতিয়ান নম্বর খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। নিচে আরো জমির সংক্রান্ত সকল কিছু বিস্তারিত আলোচনা করব, এজন্য অবশ্যই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভর্তি থাকুন।

অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম

অনলাইনে জমির দলিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের সকলেরই জেনে থাকা প্রয়োজন। কেননা আপনারা যদি কোন জমি কিনতে চান, তাহলে সেই জমির দলিল দেখে নেওয়া আপনাদের অত্যন্ত জরুরী। কিভাবে আপনারা জমির দলিল বের করবেন, কিভাবে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে জমির দল খুব সহজে হাতে থাকা ফোনের মাধ্যমে বের করতে পারবেন। সকল কিছু বিস্তারিত আলোচনা করব এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন।

আপনি যদি কোন জমি কিনতে চান, তাহলে আপনার অবশ্যই সেই জমির দলিল, দাগ নম্বর এবং জমির মালিকানা অবশ্যই যাচাই করে করে নিতে হবে। এমনকি আপনাকে জমির মালিকের মালিকানা বৈধতা সঠিকভাবে যাচাই করে নিতে হবে। নাহলে পরবর্তীতে আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, এমনকি আইনগত মামলা তো অথবা জরিমানা লাগতে পারে। এমনকি আপনার সম্পত্তি অর্থাৎ জমি থেকে আপনাকে বঞ্চিত করা হতে পারে। এইজন্য আজকে আপনাদের জানাবো আপনারা কিভাবে জমি কেনার আগে অনলাইনের মাধ্যমে জমির দলিল মালিকের মালিকানা চেক করে নিতে পারবেন। এই জন্য আপনাকে অবশ্যই এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

আপনারা হয়তো অনেক জায়গায় শুনে থাকবেন, এমন অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছে। যারা অন্যের জমি ভুয়া কাগজপত্র ডকুমেন্ট দেখিয়ে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে জমির অর্থাৎ সম্পত্তির মালিক এসে সেই ক্রেতার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে থাকে। এমন কি সেই ব্যক্তির জেল অথবা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। নাহলে আপনিও সেই মানুষগুলোর মত জমি কিনতে গিয়ে ঠকে যেতে পারেন।

একটি দলিলের অনেক কপি থাকতে পারে, কিন্তু আপনাকে আসল দলিল কোনটি সেটি অবশ্যই আপনাকে যাচাই করে নিতে হবে। কিভাবে যাচাই করবেন চলুন নিজে বিস্তারিত জানা যাক। আপনারা হয়তো দেখেছেন একটি জমি যখন বিক্রি করা হয়, তখন কিন্তু সেই জমির আরো একটি নতুন দলিল তৈরি করা হয়। এভাবেই জমিটি যতবার বিক্রি হয় তাদের বাড়ি নতুন নতুন দলিল তৈরি হয়। এই সময় সেই পুরনো দলিল কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ব্যবহার করে। কিছু মানুষদের বোকা বানিয়ে জমি বিক্রি করে থাকে। এইজন্য আপনাকে অবশ্যই যেই জমিটি কিনবেন সেই জমির দলিল চেক করে যাচাই করে নিবেন। এমনকি সেই জমির আগের দলিল এর সঙ্গে মিল করে নিতে হবে। তাহলে আপনি প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

সম্পত্তি অথবা জমি কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই জমির মালিক, ঠিকানা, দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বর, জোত নম্বর, জমির পরিমাণ সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে। এজন্য আপনাকে আপনার খতিয়ান নম্বর ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে। এমনকি আপনাকে সেই জমির ভায়া দলিল ভালোভাবে চেক করে নিতে হবে। তাহলে আপনি সঠিকভাবে আপনার জমি যাচাই করতে পারবেন, এবং প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

পুরাতন দলিল বের করার উপায়

পুরাতন দলিল বের করার উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না। আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব আপনাদের পরিবার আত্মীয়-স্বজন, অথবা দাদা-নানার পুরাতন জমির দলিল কিভাবে বের করবেন। সকল কিছু বিস্তারিত নিয়ে থাকছে আজকের এই পোস্টটিতে। এমন অনেক মানুষ আছে যারা পুরনো দলের বের করার জন্য অনেক টাকা পয়সা খরচ করে থাকে। কিন্তু আজকে আপনি জানতে পারবেন ঘরে বসে অনলাইন এর মাধ্যমে কিভাবে পুরাতন দলিল বের করবেন।

বর্তমানে আমাদের দেশ দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেননা আগে যে কাজগুলো আমরা অনেক ছোটাছুটি করে কোন ধরনের কাজ হতো না। এমনকি অনেক সময় অনেক জায়গায় টাকা খরচ করে ও জমির দলিল বের করতে হয়েছে। কিন্তু এখন চাইলে আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে। আপনার পুরনো জমির দলিল সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট খুব সহজেই বের করতে পারবেন। এই জন্য আজকের এই পোস্টটি আপনাকে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত করতে হবে। 

অনলাইনের মাধ্যমে পুরানো দলিল কিভাবে বের করবেন হয়তো এটি ভাবছেন। তাহলে ঠিক ভেবেছেন কেননা আজকে আমরা আপনাদের দেখাবো কিভাবে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে পুরানো ধরনের বের করতে পারবেন। কিন্তু পূর্ণ দলীয় বের করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় দুইটি জিনিস জানা লাগবে। প্রথমত আপনি যার জমির দলিল বের করতে চাচ্ছে তার নাম আপনাকে জানতে হবে। দ্বিতীয়ত যে জমির দলিল বের করতে চাচ্ছেন, সেই জমির শেষ রেজিস্ট্রেশন কত সালে হয়েছে। সেটি অবশ্যই আপনাকে জানা থাকতে হবে। নাহলে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সেই পুরনো দলিল বের করতে পারবেন না।

চলুন এবার পুরনো দলীল কিভাবে বের করবেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি মোবাইলের মাধ্যমে পুরানো দলিল বের করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি সেটিং অন করে নিতে হবে। আপনি আপনার মোবাইল ফোনের ক্রোম ব্রাউজারে দিয়ে উপরে কর্ণারে একটি থ্রি ডট আইকন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করার পর একটু নিচে গিয়ে দেখবেন ডেস্কটপ মোড লিখা আছে। সেখানে ক্লিক করলে আপনার ফোন ডেক্সটপ মোড অর্থাৎ ল্যাপটপ এর মত স্কিন চলে আসবে। আর যদি আপনি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থেকে করে থাকেন তাহলে কোন কিছু অন করা দরকার নেই।

আপনি আপনার ডিভাইসে ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে "e registration" ই রেজিস্ট্রেশন লিখে সার্চ করবেন। প্রথমে যে ওয়েবসাইটটি আসবে সেই ওয়েব সাইটে ক্লিক করে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সেখানে আপনার সেই কাঙ্ক্ষিত পুরনো দলিল বের করার ওয়েবসাইটটি চলে  আসবে। এরপর নিচে দেখতে পাবেন আপনি কোন ধরনের দলিল বের করতে চাচ্ছেন। আমরা যেহেতু পুরনো দলিল বের করব সেহেতু সেখানে ক্লিক করে, আপনি যার জমির পুরনোদয় বের করতে চাচ্ছেন। তার সঠিক নাম দিতে হবে, এখানে একটি কথা মাথায় রাখবেন। আগে মানুষ কিন্তু বাংলাই স্বাক্ষর লেখালেখি করত, কিন্তু এখন কিন্তু সকল কিছু পাল্টে গেছে।

এজন্য আপনি যার জমির দলিল বের করতে চাচ্ছেন তার সঠিক ইংরেজি নাম দিয়ে সার্চ করতে হবে। এরপর আপনাকে যে কাজটি করতে হবে, এটি হচ্ছে আপনি যেই জমি দলিল বের করতে চাচ্ছেন সেই জমি শেষ কত সালে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। সেই সালটি আপনাকে ফাঁকা ঘরে বসাতে হবে। এখানে কিন্তু সঠিক রেজিস্ট্রেশনের সাল উল্লেখ করে দিতে হবে। নাহলে আপনি আপনার সঠিক দলিলটি খুঁজে পাবেন না। সঠিক তথ্য দেওয়ার পর আপনার পুরনো দলের সেই ওয়েবসাইটে চলে আসবে, চাইলে আপনি সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

অনলাইনে খতিয়ান বের করার নিয়ম

অনলাইনে খতিয়ান বের করার নিয়ম সম্পর্কে প্রায় আপনারা অনেকেই জানেন না। কেননা আমরা আজ পর্যন্ত খতিয়ান বের করার জন্য তাফসিল অফিসে গিয়ে ছোটাছুটি করেছি। এমনকি সেই অফিসে লাইনে ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরও সিরিয়াল পাওয়া যায় না। কিন্তু বর্তমানে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে আমরা খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে খতিয়ান বের করতে পারি। নিচে বিস্তারিত আলোচনা পরে তো হলো।

বর্তমানে দিন দিন আমাদের কাজ অনেক সহজ এবং খুব দ্রুত করতে পারি। কেননা অধিকাংশই কাজ এখন ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে করা যায়। এইজন্য আমাদের দেশ দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এইজন্য এখন শুধুমাত্র ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে কোন ধরনের সিরিয়াল লাইন না দাঁড়িয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনি আপনার অনলাইনের মাধ্যমে খতিয়ান বের করতে পারবেন। নিচে অনলাইন থেকে কিভাবে খতিয়ান বের করবেন তার নিয়মাবলী উল্লেখ্য করে দেওয়া হলোঃ

আপনার মোবাইল ফোন অথবা ল্যাপটপ এর ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে "eporcha.gov.db" লিখে সার্চ করুন। এরপর প্রথমে যে ওয়েবসাইটটি আসবে সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এরপর আপনার কাঙ্ক্ষিত বিভাগ, জেলা, উপজেলা থানা এবং মৌজা ইত্যাদি সহ আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে আপনি আপনার খতিয়ান খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারবেন। এরপর চাইলে আপনি সেই খতিয়ানটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারেন। আশা করি আপনারা আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে খতিয়ান বের করতে পারবেন।

দলিলের নকল তোলার খরচ ২০২৫

দলিলের নকল তোলার খরচ এবং নকল দলিলের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। নকল দলিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিত, কেননা আমরা যখন নতুন কোন জমি ক্রয় করে থাকি। তখন কিন্তু আমাদের নতুন দলিল তৈরি হতে সময় লাগে এক বছর। কিন্তু এর মধ্যে আমাদের বিভিন্ন কাজে দলিল প্রয়োজন হয়। এই সময়টি কিন্তু নকল দলিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে।

আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব, দলিলের নকল তুলবেন কিভাবে এবং কত টাকা খরচ হয়ে থাকে। সকল কিছু বিস্তারিত আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন এই জন্য অবশ্যই এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে সকল কিছু আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। দলিলের নকল তুলতে সর্বোচ্চ। ২ হাজার টাকা চার্জ করে থাকে, কিন্তু অঞ্চল ভেদে একেক অঞ্চলের খরচ এক এক রকম। কিন্তু সর্বোচ্চ খরচ লাগে ২০০০ টাকা। আপনি যখন আপনার নতুন দলিল করতে দিবেন, তখন আপনি অবশ্যই সেই ভূমি অফিসে বলবেন। আপনার সেই দলিলের দুই কপি করে বের করতে।

তাহলে সেই দলিলের নকল দুই কপির মধ্যে এক কপি আপনার নিজের কাছে রাখবেন। আর এক কপি আপনার আসল দলের জন্য দিয়ে রাখবেন। তাহলে আপনি আপনার সেই দলিলের নকল দিয়ে আপনার জমির সকল ধরনের চার্জ পূরণ করতে পারবেন। চাইলে আপনি এই জমির দলিলের নকল তোলার জন্য আপনার উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে বললে। সেখান থেকে আপনাকে আপনার জমির নকল বের করে দেওয়া হবে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে। আশা করি আপনারা জমির দলিল নকল করতে কত টাকা খরচ হয় এবং কি কি করতে হয় বুঝতে পেরেছেন।

দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার নিয়ম

দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের সাথে আজকে বিতাড়িত আলোচনা করব। অনেক সময় আপনাদের দলিল হারিয়ে যাই কিংবা নষ্ট হয়ে যায়। এমন অনেক কারণে আপনার দলিল নষ্ট হয়ে থাকে। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না দলিল নষ্ট হয়ে গেলে আবার দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলা যায়। কিভাবে তুলবেন এটি নিয়ে আজকে আলোচনা করব আপনাদের সাথে এই পোস্টটির মাধ্যমে এই জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

সার্টিফাইড দলিলের কপি তোলার জন্য আপনাকে আপনার রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে। অনলাইনের মাধ্যমে এখন আবেদন করা যায় খুব সহজে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। কিন্তু আপনি যদি না জানেন তাহলে আপনি রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে আপনি আপনার দলিলের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করতে আপনার ২০০ টাকা খরচ হতে পারে, কেননা বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র লাগে এবং সেই দলিলে আবার লিখতে হয়। এগুলোতে আপনার কিছু টাকা খরচ হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি কারো মাধ্যমে করিয়ে নিতে চান। তাহলে আপনার ১০০০ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা খরচ হতে পারে। আশা করি দলিলের সার্টিফাইড কপি তোলার নিয়ম সম্পর্কে এবং খরচ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

জমির দলিল উঠানোর নিয়ম

জমির দলিল উঠানোর নিয়ম সম্পর্কে আজকে আপনারা বিস্তারিতভাবে সঠিক নিয়ম জানতে পারবেন। জমির দলিল যদি আপনি উত্তোলন করতে চান সে ক্ষেত্রে কোথা থেকে কিভাবে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনাদের জমির দলিলটা আপনি উত্তোলন করতে পারবেন। এইজন্য আপনাকে এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ করতে হবে। তাহলেই আজকে আপনি জমির দলিল উঠানোর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

চলুন আমরা জেনে নেই যে একটা জমির দলিল কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে কোথা থেকে কিভাবে উত্তোলন করতে হয়। একটা জমির দলিল দুইটা পদ্ধতিতে উত্তোলন বা তোলা যায় এক্ষেত্রে প্রথম যে পদ্ধতি রয়েছে সেটা হচ্ছে। যে আপনি যেই জমির দলিলটা উত্তোলন করতে চান বা তুলতে চান। এই জমির দলিলের সি এস অথবা আরএস অথবা বিএস দাগ নম্বর আপনাকে জানতে হবে। আর এস অথবা বিএস দাগ নম্বর আপনি জেনে নিবেন আপনার পাশের ভূমি অফিস থেকে তো এই দাগ নম্বর জানার পরে আপনাকে জানতে হবে। 

যে আপনার এই জমিটা সর্বশেষ কার নামে নাম জারি হয়েছে এবং এই নামজারির যে নথিপত্র রয়েছে। এখানে কিন্তু এই জমির দলিলের দাগ নম্বরটা দেওয়া থাকবে তো এখান থেকে নাম জারি তারিখ ও দাগ নম্বরটা নিবেন। এই জমির দলিলের দাগ নম্বর টা দেখার পরে আপনি জমির দলিলটা দুইটা জায়গা থেকে তুলতে পারবেন বা উত্তরণ করতে পারবেন। এই জমির দলিলের দাগ নাম্বার দেখার পরে আপনি সার্টিফাইড কফির জন্য কিন্তু আবেদন করতে পারবেন। আপনি কোথা থেকে তুলতে পারবেন সেটা হচ্ছে দ্বিতীয় বিষয় থাকে তুলতে পারবেন। 

এটা যদি পাঁচ ছয় বছর পূর্বে দলিল হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি অফিস থেকে তুলতে পারবেন। এই জমির দলিলটা যদি আরও পূর্বের হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি এই জমির দলিলটি ডিসির রেকর্ড রুম থেকে এই দলিলটা উত্তোলন করতে পারবেন। ডিসি অফিসে আবেদন করে এটা দলিলের সার্টিফাইড কফির জন্য আবেদন করলে আপনাকে একটা জমির দলিল প্রদান করা হবে। যদি আপনার সিরিয়াস আরএস বা বিএস খতিয়ান দাগ নম্বর যেটা রয়েছে সেটা যদি আপনি না পান সেক্ষেত্রে আপনার এই জমিটা সার্চ করতে হবে। 

এর ফলে আপনি ডিসি অফিস থেকে খুব সহজে আপনার জমির দলের উত্তোলন করতে পারবেন। আশা করি আপনারা এই পোস্টটি মাধ্যমে জমির দলিল উত্তালনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই উপরে যে সব ডকুমেন্টের কথা বলা হয়েছে। সেগুলো ছাড়া আপনি কখনো আপনার দলিল উত্তোলন করতে পারবেন না। এজন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিয়ে আপনি আপনার দলিল উত্তোলন করতে পারবেন।

অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান

অনলাইনে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। বর্তমানে দিন দিন আমাদের দেশ অনেক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আমাদের কাজ খুব সহজে কম সময়ের মধ্যে হয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা প্রায়ই অধিকাংশ মানুষ ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি। তেমনি অনলাইনে মাধ্যমে  ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান থেকে আমরা খুব সহজে জমির সকল ধরনের তথ্য জানতে পারি।

অনলাইনের মাধ্যমে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আপনাকে যেই কাজগুলো করতে হবে। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান। তাহলে আপনাকে আপনার ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে উপরে থ্রি ডট আইকনে ক্লিক করে ডেস্কটপ মোড করে নিতে হবে। এরপর আপনাকে "dlrms.land.gov.bd" লিখে গুগলে সার্চ করতে হবে। তাহলে আপনার কাঙ্খিত ইনফরমেশন জানতে পারবেন। নিচে আপনার বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং মৌজা ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য পূরণ করে সাবমিট দিলেই। 

আপনার নামজারি খতিয়ান খুব সহজেই দেখতে পাবেন। আশা করি এখন আপনারা খুব সহজেই খতিয়ানটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এমনিতেও আমাদের দেশ দিন দিন অনেক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষ ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে সকল ধরনের কাজ খুব সহজে করতে পারে। আপনি যদি আজকের এই সকল নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তাহলে আপনিও ঘরে বসে আপনার ডিভাইস ব্যবহার করে সকল ধরনের তথ্য ডকুমেন্ট অনলাইন এর মাধ্যমে বের করতে পারবেন।

পরিশেষে আমার মন্তব্যঃ  ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান

 ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে আপনারা আজকে সকল ধরনের তথ্য বিস্তারিত হবে জানতে পেরেছেন। কেননা আজকে আমরা এই পোস্টটিতে জমির খতিয়ান, জমির দলিল ইত্যাদি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যারা আপনারা জমির খতিয়ান বের করার জন্য দোকানে অথবা ভূমি অফিসে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে। তারা এখন ঘরে বসেই হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে খুব সহজে অনলাইন থেকে জমির সংক্রান্ত সকল ধরনের ডকুমেন্ট কাগজপত্র বের করতে পারবেন।

আপনারা আগে কিন্তু এসব ধরনের তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেন না। কিন্তু আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা জমির সকল কিছু খুব সহজেই জানতে পেরেছেন। কেননা আমাদের দেশ দিন দিন অনেক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আমাদের দেশের সকল ধরনের কাজ খুব দ্রুত এবং খুব সহজে সম্পন্ন করা যাচ্ছে। কিন্তু এমন আরো অনেক ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে যেগুলো আপনাকে শুধুমাত্র আপনার উপজেলার ভূমি অফিস থেকে তুলতে হতে পারে। এই জন্য যে কোন জমির সংক্রান্ত কাজে আপনি চাইলে আপনার উপজেলার ভূমি অফিসে দিয়ে পর্যালোচনা করে। সমস্যার সমাধান খুব সহজে করতে পারেন।

কিন্তু আপনারা অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, সেটি হচ্ছে আপনারা যদি কারো কাছ থেকে জমি ক্রয় অর্থাৎ কিনে নিতে চান। তাহলে অবশ্যই সেই সকল ধরনের কাগজপত্র, ডকুমেন্ট এবং জমির দলিল সকল কিছু পর্যালোচনা করে দেখে নিতে হবে। কেননা বর্তমানে এমন অনেক ভুয়া মানুষ আছে যারা অন্যের জমি ভুয়া কাগজপত্র করে আপনার কাছে বিক্রি করতে পারে। এর ফলে আপনি যদি সকল ধরনের ডকুমেন্ট যাচাই করে না কিনেন। তাহলে পরবর্তীতে আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। কেননা জমির আসল মালিক আপনার উপর মামলা করে আপনার কাছ থেকে সেই জমি নিয়ে নিতে পারবে। এজন্য অবশ্যই সব সময় সতর্ক থাকবেন এবং এই পোস্টটি থেকে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্টের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Mahmuda
    Mahmuda April 17, 2025 at 9:43 PM

    onek sundor hoyeche

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শফ্টব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url