রূপচর্চায় কলার ব্যবহার অতান্ত কার্যকারি ও কলার ১০ টি গুনাগুন

রূপচর্চায় কলার ব্যবহার অতান্ত কার্যকারি, কেননা কলা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। কলা খাওয়ার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও দাগ দূর করতে সাহায্য করে। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে ত্বকের শুষ্কতা ও আদ্রতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। আজকে কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
রূপচর্চায়-কলার-ব্যবহার-অতান্ত-কার্যকারি-ও-কলার-১০-টি-গুনাগুন
আপনারা অনেকেই কলার সঠিক ব্যবহার করতে জানেন না, এই জন্য আজকে আপনারা এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। কলা ব্যবহার করে কিভাবে ত্বকের কালো দাগ ব্রণ দূর করবেন। সকল কিছু বিস্তারিত নিয়ে যাচ্ছে আজকের এই পোস্টটিতে। এজন্য অবশ্যই এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত করতে হবে, তাহলে আপনি কলার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ রূপচর্চায় কলার ব্যবহার অতান্ত কার্যকারি

রূপচর্চায় কলার ব্যবহার অতান্ত কার্যকারি

রূপচর্চায় কলার ব্যবহার অতান্ত কার্যকারি, আমরা প্রায় অধিকাংশ সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে কলা খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা এটা জানি না যে কলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হতে পারে। কিন্তু আজকে আপনারা এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন কলা খেলে কি কি উপকার হয়। কলা খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে, আপনি যদি সেই নিয়মগুলো মেনে করা খান তাহলে আপনার শারীরিক শক্তি এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
কলা খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকে দাগ মুক্ত করে তুলতে পারবো। কেননা কলাতে অধিক পরিমাণ পটাশিয়াম থাকার কারণে ত্বকের আদ্রতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। এমনকি কলা খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনি যদি দৌড়াতে গিয়ে দ্রুত হাঁপিয়ে যান তাহলে নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে আপনি খুব সহজে দৌড়াতে পারবেন। কলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সকালে তরল জাতীয় খাবারের সাথে কলা খেতে হবে। তাহলে আপনি কলার সঠিক গুনাগুন এবং উপকারিতা ফল পাবেন। নিচে কলার সকল ধরনের গুনাগুন এবং উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই জন্য অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তেই থাকুন।

কলার খোসা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার

কলার খোসা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার, কথাটি শুনে হয়তো অবাক হচ্ছেন, অবাক হওয়ারই কথা। কেননা আপনার কেউই জানেন না যে গলার খোসা ব্যবহার করে দাঁতের হলদে দূর করে একদম চকচকে সাদা করা যায়। আমরা সাধারণত কলা খাওয়ার পর কল করার খোসা যেখানে সেখানে রাস্তাঘাটে ফেলে রাখি। কিন্তু আজকে যদি আপনি এই কালার খোসার উপকারিতা জানেন। তাহলে আজকে দেখে আর কলার খোসা কোথাও ফেলবেন না।

কলা আমরা প্রায় অধিকাংশ সময় দোকান থেকে কিনে অথবা বাসায় কলা খেয়ে থাকি। কলা খাওয়া আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কলার খোসা আপনার দাঁতে কিভাবে ব্যবহার করবেন যেন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। কলার খোসার ভিতরের দিকে নিজে সাদা বর্ণের যেগুলো থাকে। সেগুলোকে বের করে আপনার দাঁতে লাগিয়ে ভালো করে মাজতে হবে। এর ফলে আপনার দাঁত হবে একদম ধবধবে সাদা এবং উজ্জ্বল। এমনকি এই কলার খোসা সাদা অংশ দাঁতে লাগানোর ফলে দাঁতের ব্যথা দূর হয়ে যায়। কলা খাওয়াতে যেমন গুনাগুন রয়েছে তেমনি কলার খোসাতেও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

কলা আর মধুর ফেসপ্যাক

কলা আর মধুর ফেসপ্যাক আপনারা হয়তো অনেকে বানাতে জানেন না। আজকে আপনাদের জানাবো কিভাবে আপনারা কলা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন। এই ফেসপ্যাকটি অনেক কার্যকারী সাত দিন ব্যবহার করলে আপনি আপনার ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পাবেন। আপনারা এমনিতেও জানেন কলা আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কলা আর মধ্য দিয়ে কিভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো।

কলা আর মধু দিয়ে কিভাবে ফেস প্যাকটিক তৈরি করবেন হয়তো বুঝতে পারছেন না। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক, ফেসপ্যাকটি তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি কলার প্রয়োজন হবে, এরপর এক চা চামচ মধু এবং এক যা চামচ লেবুর রস এই তিনটি মিশ্রণ একদিন পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিক্স করতে হবে। ফেসবুকটি তৈরি করা হয়ে গেলে আপনি যেই ত্বকে ব্যবহার করবেন সেই ত্বকটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কেননা আপনারা জানেন যে কোন জিনিস ত্বকে ব্যবহারের আগে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করে নিতে হয়।

এরপর আপনাকে সেই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। সেই ফেসপ্যাকটি ভালোভাবে আপনার ত্বকে লাগিয়ে নেওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। টাইম হয়ে গেলে আপনাকে আপনার ফেসপ্যাকটি ত্বক থেকে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরিষ্কার করার জন্য অবশ্যই হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ফেসপ্যাকটি পরিষ্কার করতে হবে। এই কলা আর মধু ফেসপ্যাকটি আপনাকে এক সপ্তাহ ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আপনি এই কলার ফেসপ্যাক এর আসল রহস্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। নিচে আরো কলার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।

কলার ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি

কলার ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি সম্পর্কে বিস্তারিত আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। এই জন্য অবশ্যই আপনাকে এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলেই আপনি কলার ব্যবহার করে তাদের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। এখন প্রায় অধিকাংশ মানুষ ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম, ফেসওয়াস, ঔষধ ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ত্বকে ব্যবহার করে থাকি।

কিন্তু এইসব কসমেটিক্স সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আমরা এটা জানি না যে কলা ব্যবহার করে তাদের প্রয়োজন টা খুব সহজে বৃদ্ধি করা যায়। চলুন এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক আপনি আপনার ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক্টরি তৈরি করবেন। ফেসবুকটি তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে ১ টি ভালো কলা, ১ চা চামচ লেবুর, ২ চা চামচ মধু এবং সাথে ২ চামুচ এলোভেরা নিতে হবে। আপনারা অনেকেই জানেন লেবু মধু এবং অ্যালভেরা আমাদের ত্বকের অনেক উপকারী একটি উপাদান। 

ফেসপ্যাকটি ভালোভাবে একসঙ্গে মিক্স করে আপনার ত্বক সহ পুরো শরীরে ব্যবহার করতে পারবেন এই ফেসপ্যাকটি। কিন্তু ফেসপ্যাক টি ব্যবহারের আগে অবশ্যই আপনার শরীরের যে অংশে ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করবেন। সেই জায়গা অবশ্যই ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিয়ে সেখানে ব্যবহার করতে হবে। ফেসপ্যাকটি লাগানোর ২০ মিনিট এর মধ্যে কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। নিয়মিত ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে এই কলার গুনাগুন এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এমনিতেও রূপচর্চায় কলার ব্যবহার অতান্ত কার্যকারি ভূমিকা পালন করে থাকে।

কলার ব্যবহারে ব্রণের ফোলা দূর করার উপায়

কলার ব্যবহারে ব্রণের ফোলা দূর করার উপায় সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে এই পোস্টটির মাধ্যমে আলোচনা করব। এখন প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই মুখে কালো দাগ ব্রণ স্পট আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কেন হচ্ছে কি কারণে হচ্ছে এবং কিভাবে এইসব ধরনের কালো ব্রণ দাগ দূর করবেন। সকল কিছু বিস্তারিত নিয়ে থাকে আজকের এই পোস্টটিতে, এজন্য অবশ্যই এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত করতে হবে।
কলার-ব্যবহারে-ব্রণের-ফোলা-দূর-করার-উপায়
কলা আমরা অধিকাংশ সময় শুয়ে থাকি, কিন্তু কলা খাওয়ার কিছু সঠিক নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি একটি করে কলা খেতে পারেন। তাহলে আপনার ত্বকের ব্রণ কালো দাগ সকল কিছু থেকে মুক্তি পাবেন। এজন্য আপনাকে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কলা খেতে হবে। সকাল সকাল কলা খেলে শরীর সুস্থ সবল থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কিন্তু শুধুমাত্র কলা খেলেই হবে না, আপনার আরো কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

প্রতিদিন আপনাকে নিয়মিত সময়মতো ঘুমাতে হবে। কেননা এখন অধিকাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে ঠিকমতো ঘুমাই না। এজন্য দীর্ঘ রাত জাগার কারণে এবং মোবাইলের কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার ফলে আমাদের দলের বিভিন্ন ধরনের দাগ স্পট, ব্রণ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এজন্য আপনারা নিয়মিত সঠিক সময় ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। তাহলে আল্লাহ ত্বকে কোন ধরনের দাগ স্পট, ব্রণ বের হবে না। কিন্তু এর পাশাপাশি আপনাকে প্রতিদিন একটি করে সকালে নিয়মিত কালা নিতে হবে।

পরিশেষে আমার মন্তব্যঃ রূপচর্চায় কলার ব্যবহার অতান্ত কার্যকারি

রূপচর্চায় কলার ব্যবহার অতান্ত কার্যকারি উপাদান সম্পর্কে আশা করি আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। রূপচর্চা ত্বকের জন্য কলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা কলাতে অনেক পরিমাণ পটাশিয়াম থাকার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এমনকি কলা পুরনো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এই জন্য নিয়মিত উপরে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী কলা খাওয়া এবং ব্যবহার করা চেষ্টা করবেন।

আপনারা অনেকে ই আছেন যারা ত্বকের যত্নের জন্য বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স এবং ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এসব ধরনের পণ্য প্রোডাক্ট ব্যবহারের ফলে আপনাদের ত্বকের আরো বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি ঘরোয়া উপায় এই নিয়ম মেনে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। তাহলে এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনি এই কলার উপকারিতা এবং গুনাগুন সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। এই পোস্টটি থেকে যদি আপনি কোন কিছু শিখে উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শফ্টব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url