সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান বেতন কত ও ভিসা খরচ সম্পর্কে
সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান বেতন কত আমরা এখন কি জানিনা। সিঙ্গাপুর হচ্ছে
একটি স্বপ্নের স্থান, সিঙ্গাপুরের ইলেকট্রিশিয়ান কাজের বেতন কত, সর্বনিম্ন বেতন
কত, সর্বোচ্চ বেতন কত এবং সিঙ্গাপুর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সকল কিছু তথ্য
আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন।
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে ইলেকট্রিশিয়ান এর বেতন সর্বনিম্ন ৬০ হাজার টাকা। আপনি
যদি একজন ভালো ইলেকট্রনিশিয়ান হতে পারেন। তাহলে আপনার মাসিক বেতন লক্ষ টাকার
উপরে হতে পারে। আজকে আমরা এই পোস্টটিতে আলোচনা করব, কিভাবে আপনারা
ইলেক্ট্রিশিয়ান কাজ পাবেন। এইজন্য এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান বেতন কত
- সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান বেতন কত
- সিঙ্গাপুর ভিসার দাম কত ২০২৫
- সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
- সিঙ্গাপুরে শ্রমিকের বেতন কত ২০২৫
- সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি
- সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ট্রেনিং সেন্টার
- সিঙ্গাপুর টাকার রেট কত
- সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত
- পরিশেষে আমার মন্তব্যঃ সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান বেতন কত
সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান বেতন কত
সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান বেতন কত এবং কোথায় কাজ করবেন, সকল কিছু তথ্য আজকের এই
পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন। সিঙ্গাপুর হচ্ছে একটি সুন্দর পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন একটি দেশ। সিঙ্গাপুরে দক্ষতা ইলেকট্রিশিয়ানের অনেক অভাব রয়েছে।
আপনি যদি একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান হতে পারেন। তাহলে আপনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে
প্রতি মাসে ইলেকট্রিশিয়ান কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।
নিচে ইলেকট্রিশিয়ান কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো।
আরও পড়ুনঃ ইতালি কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৫
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান এর চাহিদা কিন্তু অনেক বেশি। আপনি যদি
একজন দক্ষ ইলেকট্রনিশিয়ান এর কাজ জানেন। তাহলে আপনি সিঙ্গাপুরে ইলেকট্রিশিয়ান
ভিসার মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। প্রতিবছর সিঙ্গাপুরের সরকার দক্ষ
ইলেকট্রনিশিয়ান এর জন্য সারা দেশ থেকে নিয়োগ দিয়ে থাকে। এজন্য আপনি যদি একজন
দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান হতে পারেন তাহলে খুব সহজে সিঙ্গাপুরে কাজের জন্য
যেতে পারবেন। কিন্তু আমাদের দেশের এবং সিঙ্গাপুরের কাজের ধরন কিন্তু অনেক
আলাদা।
সিঙ্গাপুরের কারেন্টের তার মাটির নিচে ক্ষরণ করে কারেন্ট সাপ্লাই করে থাকে।
সিঙ্গাপুরে কোন ধরনের তার উপর দিয়ে থাকে না, সকল ধরনের মাটির নিচ দিয়ে দেওয়া
থাকে। এমনকি তাদের কাজের ধরন এবং তার অনেক আলাদা। এই জন্য আপনাকে আগে সিঙ্গাপুরে
গিয়ে ইলেকট্রনিশিয়ান কাজ ভালোভাবে শিখতে হবে। সিঙ্গাপুরে দিন দিন এমন অনেক
ধরনের বিল্ডিং, অফিস, কল কলকারখানা, শপিংমল ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে। যেগুলোর
জন্য তাদের দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান এর অনেক প্রয়োজন হয়। এগুলোতে কাজ করে আপনি
প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।
সিঙ্গাপুর ভিসার দাম কত ২০২৫
সিঙ্গাপুর ভিসার দাম কত ২০২৫ সালে সিংগাপুর কোন ভিসার কেমন খরচ। সকল কিছু
বিস্তারিত তথ্য আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। এই জন্য অবশ্যই এই
পোস্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। সিঙ্গাপুরের প্রায়
এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন। যেমন ইলেকট্রিশিয়ান ভিসা,
ফ্যামিলি ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, ক্লিনার ভিসা ইত্যাদি এমন আরো অনেক
ধরনের বিষয় রয়েছে।
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসা করে গিয়ে থাকে। কেননা প্রতিবছর
সিঙ্গাপুর থেকে সিঙ্গাপুরের সরকার সারাদিন থেকে প্রায় অধিকাংশ মানুষ নিয়োগ করে
থাকে। সিঙ্গাপুরে দক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি থাকার কারণে বাইরের দেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক
নিয়োগ করা হয়ে থাকে। চাইলে আপনি এইসব নিয়োগের মাধ্যমে কম খরচে
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসায় যেতে পারবেন। সিঙ্গাপুরে কোন ভিসার খরচ কেমন লাগে সকল
কিছু বিস্তারিত নিজে সাজিয়ে দেওয়া হলোঃ
ভিসার নাম | ভিসার খরচ |
---|---|
ইলেক্ট্রিশিয়ান ভিসা | ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা |
স্টুডেন্ট ভিসা | ২ থেকে ২ লক্ষ টাকা |
ক্লিনার ভিসা | ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা |
কোম্পানির ভিসা | ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা |
ড্রাইভিং ভিসা | ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা |
ফ্যামিলি ভিসা | ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা |
সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত তাই আপনারা অধিকাংশই মানুষ জানেন না। কিন্তু
আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি একটা জিনিস জানতে পারবেন। সিঙ্গাপুরে সত্যিই কি
ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যায় কিনা বিস্তারিত জানতে পারবেন। সিঙ্গাপুরে
ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার কোন সিস্টেম অর্থাৎ মাধ্যম নেই। যদি আপনাকে কোন
এজেন্সি অর্থাৎ দালাল আপনাকে বলে ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে পাঠাবে। তাহলে সেই
এজেন্সি সম্পন্ন ভুয়া কেননা কোন ধরনের ভিসা নেই।
সিঙ্গাপুরে কোন ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন না। কিন্তু আপনি চাইলে
সিঙ্গাপুরে কাজের বিষয় গিয়ে আপনি ড্রাইভিং করতে পারেন। কিভাবে করবেন সকল কিছু
আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনার যদি বাংলাদেশে ড্রাইভিং ভিসা থেকে
থাকে, তাহলে আপনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে ড্রাইভিং করার জন্য কিছুটা হলেও সুবিধা পেতে
পারেন। কেননা আপনি যদি সিঙ্গাপুরের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান। তাহলে
সেখানে তারা আলাদাভাবে পরীক্ষা নেওয়ার পর আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে
থাকবে।
আপনি চাইলেই সহজে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন না, কেননা ড্রাইভিং লাইসেন্স
করতে হলে আপনাকে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে পড়াশোনা করতে হবে। আপনি চাইলে কয়েক
বছর সিঙ্গাপুরে কোন কোম্পানিতে করে। তারপর ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য পড়াশোনা
করে পরীক্ষা দিতে পারেন। তবে আপনি যেই কোম্পানির আন্ডারে কাজ করবেন, সেই কম
পানিতেও আপনার ড্রাইভিং এর পাশাপাশি কোম্পানির কাজ অর্থাৎ শ্রমিকের কাজও করতে
হয়। এর ফলে আপনাকে কোম্পানি থেকে ভালো পরিমাণে বেতন প্রদান করে থাকে। সিঙ্গাপুরে
ড্রাইভিং করে আপনি প্রতিমাসে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে
পারবেন।
সিঙ্গাপুরে শ্রমিকের বেতন কত ২০২৫
সিঙ্গাপুরে শ্রমিকের বেতন কত ২০২৫ আপনারা অনেকেরই এই প্রশ্নটি করে থাকেন।
সিঙ্গাপুরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের বিল্ডিং, কন্সট্রাকশনের কাজে এবং নিত্য নতুন
কলকারখানা তৈরি হচ্ছে। সেই কাজের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে তাদের দেশের সরকার বিভিন্ন
দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে নিয়ে আসে। আপনি যদি একজন দক্ষ শ্রমিক হতে পারেন,
তাহলে আপনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে কাজ করে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে
পারবেন।
সিঙ্গাপুরে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয়, তাদের এজেন্সির মাধ্যমে। একটি শ্রমিকের
মাসিক বেতন ৫০ হাজার অথবা ভালো ও দক্ষ শ্রমিক হলে কিছুটা বাড়তেও পারে। কেননা
বাইরের দেশ থেকে আমাদের শুধুমাত্র কাজের জন্যই নিয়োগ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজন্য তারা বেশি দক্ষ শ্রমিককে পছন্দ করে থাকে। কিন্তু একটি জিনিসের মাথায়
রাখবেন, আপনি যেই এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন। সেই এজেন্সি আগে ভালোভাবে যাচাই করে
তারপর ভিসার জন্য আবেদন করবেন। কেননা এমন অনেক এজেন্সি আছে যেগুলো এক ধরনের কাজ
বলে নিয়ে যায় কিন্তু সঠিক কাজ পাওয়া যায় না। আর যদি আপনার পরিচিত আত্মীয়
থেকে থাকে তাহলে তার মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি
সিঙ্গাপুর কোন কাজের চাহিদা বেশি আপনারা অনেকেই জানেন না। সিঙ্গাপুরে এমন অনেক
কাজ আছে যেগুলো চাহিদা অনেক বেশি হয়ে থাকে। এইজন্য কাজের উপর নির্ভর করবে আপনার
প্রতি মাসের বেতন। সিঙ্গাপুরে এমন অনেক কাজ আছে যেগুলোর জন্য তারা বাইরের দেশ
থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে নিয়ে আসে। সিঙ্গাপুরে প্রায় অধিকাংশ মানুষ বাংলাদেশ
থেকে শ্রমিক হিসেবে গিয়ে থাকে।
এইজন্য আপনাদের সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে কোন কোন কাজের দক্ষতা এবং কি কি জানা
প্রয়োজন সকল কিছু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। এই জন্য অবশ্যই এই পোস্টটি প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করবেন। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে আপনার যেসব কাজের
উপর অভিজ্ঞতা নিয়ে যেতে হবে। সেগুলো নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা
করব। নিচে সকল কিছু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো যে সিঙ্গাপুরে কোন কোন কাজের
চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
- নির্মাণ শ্রমিক
- ইলেকট্রিশিয়ান
- প্লাম্বার
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
- ড্রাইভিং
- ওয়েল্ডিং কাজ
- হোটেল বয়
- রেস্টুরেন্ট ওয়েটার
- ডেলিভারি বয়
- ক্লিনার
- গ্লাস ফিডিং
- কোম্পানির কাজ
- ফ্যাক্টরি শ্রমিক
সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ট্রেনিং সেন্টার
সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ট্রেনিং সেন্টার, সিঙ্গাপুর যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে
যেকোনো ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। কেননা আপনি প্রশিক্ষণ না নিয়ে
সিঙ্গাপুরে যেতে পারবেন না। এমনকি আপনাকে যে ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হবেন সেখানে
পাস না করতে পারলে কোনোভাবেই আপনি সিঙ্গাপুরে যেতে পারবেন না। সিঙ্গাপুরে যেতে
হলে এমন অনেক ধরনের পদক্ষেপ আছে যেগুলো আপনাকে পার করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় ২০২৫
বর্তমানে প্রায় অধিকাংশই মানুষ বাংলাদেশে কাজ না পাওয়ার কারণে সিঙ্গাপুরসহ
আরো বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য গিয়ে থাকে। আপনি যদি সিঙ্গাপুরে কাজের জন্য যেতে
চান। তাহলে অবশ্যই আপনার আশপাশে যেখানে সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার আছে। সেখানে
আপনাকে ভর্তি হতে হবে এবং সেই খানে ৬ মাস আপনাকে ট্রেনিং দেওয়া হবে এবং সেই
ট্রেনিং এ আপনাকে পাস করতে হবে। তাহলে আপনি সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে
পারবে না। কিন্তু আপনি যে এজেন্সি অথবা দালালির মাধ্যমে যাবেন। সেই এজেন্সি
সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জেনে নিবেন। আপনি যদি সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান
বেতন কত জানতে চান উপরে দেখে নিতে পারেন।
সিঙ্গাপুর টাকার রেট কত
সিঙ্গাপুর টাকার রেট কত এটি জানার জন্য আপনারা অনেকেই বিভিন্ন জায়গায়
খোঁজাখুঁজি করে থাকে। আপনি যদি সিঙ্গাপুর টাকার রেট সম্পর্কে জানতে চান তাহলে ঠিক
জায়গাতে এসেছেন। কেননা আজকে আমরা এখানে আপনাদের জানাবো যে বর্তমান সিঙ্গাপুর
টাকার রেট কত? বেশিরভাগ মানুষ যারা সিঙ্গাপুরে কাজের জন্য তথা শ্রমিক হিসেবে এবং
যাওয়ার চিন্তাভাবনা করে তারা বেশি সিঙ্গাপুরের টাকার মান অর্থাৎ রেট সম্পর্কে
জানতে আগ্রহ হয়ে থাকে। সিঙ্গাপুর টাকার মান সম্পর্কে জানতে হবে এই পোস্টটি
মনোযোগ সহকারে দেখতে থাকুন। বর্তমানে সিঙ্গাপুর 1 SGD = বাংলাদেশি টাকায় ৯১
টাকা। আশা করি আপনারা সিঙ্গাপুরের টাকার মান অর্থাৎ রেট সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত
সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত এই প্রশ্নটি আপনার প্রায় অধিকাংশ মানুষ করে
থাকেন। কেননা যারা সিঙ্গাপুরে যেতে চান শ্রমিক ভিসাই তারা সিঙ্গাপুরে
যাওয়ার আগে জানতে চান যে আমি যে সেখানে সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা কাজ করবে। কেননা
সিঙ্গাপুরে মানুষ শুধুমাত্র টাকা ইনকাম করার জন্য, তাই সকলেই আগে ইচ্ছা জাগে যে
সে সিঙ্গাপুরে গিয়ে সর্বনিম্ন কত টাকায় কাজ করবে। এজন্য আজকে আপনাদের এই
পোস্টটিতে জানাবো কোন কাজের বেতন কত আর আপনি কোন কাজ করে সিঙ্গাপুরে টাকা ইনকাম
করবেন। নিচে সকল কিছু তালিকা করে সাজিয়ে দেওয়া হলোঃ
ক্রমিক | পেশার নাম | মাসিক বেতন (বাংলাদেশি টাকা) | মাসিক বেতন (সিঙ্গাপুর ডলার) |
---|---|---|---|
১ | ক্লিনার / পরিচ্ছন্নতাকর্মী | ৩০,০০০ – ৫০,০০০ | ৪৫০ – ৭৫০ SGD |
২ | ডেলিভারি ম্যান | ৩০,০০০ – ৭০,০০০ | ৪৫০ – ১,০৫০ SGD |
৩ | রেস্টুরেন্ট স্টাফ | ৩০,০০০ – ৫০,০০০ | ৪৫০ – ৭৫০ SGD |
৪ | ড্রাইভার | ৪০,০০০ – ৬০,০০০ | ৬০০ – ৯০০ SGD |
৫ | সাধারণ শ্রমিক (অদক্ষ) | ২৫,০০০ – ৪০,০০০ | ৩৭৫ – ৬০০ SGD |
৬ | সাধারণ শ্রমিক (দক্ষ) | ৪০,০০০ – ৬০,০০০ | ৬০০ – ৯০০ SGD |
পরিশেষে আমার মন্তব্যঃ সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান বেতন কত
সিঙ্গাপুর ইলেকট্রিশিয়ান বেতন কত আশা করি আপনারা এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে
পেরেছেন। আপনি যদি ইলেকট্রিশিয়ান ভিসায় যেতে চান, তাহলে খুব সহজে কিন্তু যেতে
পারবেন। কেননা সিঙ্গাপুরে দিন দিন এমন অনেক ধরনের কাল কারখানা, হোটেল,
বিল্ডিং এবং বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। যেগুলোর জন্য কিন্তু একজন দক্ষ ইলেকট্রনিশিয়ান
এর প্রয়োজন পড়ে থাকে। আপনি যদি ভালো ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ জানেন তাহলে সেখানে
গিয়ে করতে পারেন।
উপরে সিঙ্গাপুরের অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কথা বলেছি তবে ড্রাইভিং ভিসা। এই ড্রাইভিং
ভিসা কিন্তু নেই আপনাকে যদি কোন এজেন্সি অথবা দালাল ড্রাইভিং ভিসা পাঠাতে চাই
অথবা বলে থাকে। তাহলে কোন ভাবে আপনি রাজি হবেন না। কেননা সিঙ্গাপুরে সরকার কখনোই
ড্রাইভিং ভিসা দেয় না, শুধু মাত্র কাজের ভিসা অর্থাৎ শ্রমিক ভিসা দিয়ে থাকে।
আপনার যদি পরিচিত আত্মীয় কেউ থাকে তাহলে তার মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা
করবেন। এই পোস্টটি থেকে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই কমেন্টের
মাধ্যমে জানানো চেষ্টা করবেন।
শফ্টব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url