হাত পা ফর্সা হওয়ার সেরা ১৫ টি ডাক্তারি ক্রিম নাম জেনে নিন

• কাঁচা দুধঃ আমরা জানি দুধ সাধারণত খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু দুধ ব্যবহার করে আপনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন। কেননা কাঁচা দুধে ল্যাকটিক এসিড রয়েছে যা আমাদের ত্বকে মসৃণ ও কোমল রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা দুধ ব্যবহার করে আপনি আপনার হাত পা সহ পুরো শরীর দুধের মতো ধবধবে সাদা ফর্সা করতে পারবেন।

• হলুদ গুঁড়োঃ আমরা সাধারণত হলুদের গুড়ো খাবার রান্নার সাথে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি চাইলে আপনার ত্বকের অর্থাৎ হাত বা পা ফর্সা করার জন্য হলুদের গুড়ো ব্যবহার করতে পারেন। তা হলুদের গুড়ো যেকোন ধরনের অভেকশন ব্রণের কালো দাগ স্পট দূর করতে সাহায্য করে। হলুদ আমাদের শরীর ও ত্বকের জন্য অত্যান্ত জরুরী।

• বেসনঃ বেসন আমরা আমাদের ত্বকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকি। কেননা বেসন আমাদের ত্বকের ধুলো ময়লা কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

• টমেটো রসঃ টমেটো জড়ো চামড়াকে টানটান করে তুলতে সাহায্য করে। এমনকি টমেটো রস ব্যবহারের ফলে রোদে পড়া কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

• কাঁচা আলুর রসঃ কাঁচা আলুর রসে রয়েছে এনজাইম ভিটামিন সি যা আমাদের ত্বকের কালো দাগ বিভিন্ন ধরনের স্পট ব্রণের দাগ খুব সহজে দূর করতে সাহায্য করে।

• শসার রসঃ আমরা জানি, শসা এমনিতেও ঠান্ডা আর শসা আমাদের ত্বককে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শসা আমাদের শরীরে রোদের তাপ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এজন্য সব সময় শসা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। 

• পাকা পেঁপে পেস্টঃ পাকা পেঁপে পেস্ট ব্যবহার করে আপনার হাত পা সহ পুরো শরীর ধবধবে সাদা করতে পারবেন। কেননা পেঁপে আমাদের ত্বকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য পেঁপে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম, ফেসওয়াশ এবং সাবান ইত্যাদি রয়েছে। এজন্য বেশি বেশি করে পেঁপে দিয়ে ফেসপ্যাক ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

মেয়েদের হাত পা ফর্সা করার ক্রিমের নাম

মেয়েদের হাত পা সহ পুরো শরীর ফর্সা হওয়ার ক্রিমের নাম গুলো উপরে সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব ক্রিম ব্যবহারের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যেমনঃ এসব ক্রিম শুধুমাত্র ঘুমানোর আগে অর্থাৎ রাতে আপনার স্কিনে অর্থাৎ মুখে ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এই ক্রিম ব্যবহারের আগে আপনাকে আপনার ত্বক ভালোভাবে কোন ভালো সাবান অথবা ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ওপরে যেসব ক্রিমের নাম দেওয়া হয়েছে সেগুলো অবশ্যই অরজিনাল অর্থাৎ আসল কিনা সেটি অবশ্যই যাচাই করে ক্রয় করবেন। কেননা বাজারে এমন অনেক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা দুই নাম্বার ভেজালুযুক্ত প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে।

বর্তমানে উপরের এই ক্রিমগুলো ছেলেদের হাত-পা শরীর ফর্সা হওয়ার জন্য অনেক ভালো ক্রিম। আপনারা চাইলে উপরে দেওয়া এই ক্রিম গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কেননা বাজারে আপনারা অনেক ভাবে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট অর্থাৎ -ক্রিম কিনে থাকেন। সেগুলো ব্যবহারের ফলে আপনাদের ত্বকের অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। উপরে যেই ক্রিম গুলোর নাম দেওয়া আছে, সেই নাম গুলো দেখে অবশ্যই যাচাই করে ক্রয় করবেন। কেননা একই নামে বিভিন্ন ধরনের ভুল প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে। এই ক্রিমগুলো অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী দিনে এবং রাতে নিয়মিত ব্যবহার করলে ই কিছুদিনের মধ্যেই ক্রিমের ফলাফল পাবেন।

লোশন কিভাবে কখন ব্যবহার করবেন? উপরে যে লোশনের নাম গুলো তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো আপনারা রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিদিন ব্যবহার করবেন। তাহলে লোশনের ফলাফল দ্রুত দেখতে পারবেন। আর আপনি যদি দিনে অর্থাৎ রোদে সময় ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই SFT যুক্ত লোশন ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। উপরে যে লোশন গুলোর নাম দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ২ থেকে ৪ সপ্তাহে মধ্যে ফলাফল অর্থাৎ পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

উপরের এই সাবানগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার হাত-পা সহ পুরো শরীর ফর্সা করতে পারবেন। বাজারে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের সাবান বিক্রি করে বলে যে এই সাবান দিয়ে ফর্সা হওয়া যায়। কিন্তু সেই প্রোডাক্ট কিনে ব্যবহার করার পর কোন ধরনের কাজে আসে না। এজন্য আজকে আমরা আপনাদের এমন কয়েকটি সম্পর্কে জানিয়েছি যেগুলা ব্যবহার করে কিছুটা হলে উপকৃত অর্থাৎ আপনার ত্বকে ফলাফল পাবেন।

আশা করি, আজকে এই পোস্টটি থেকে আপনারা স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই নাইট ক্রিম যদি আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই ফলাফল পাবেন। কিন্তু এই নাইট ক্রিম অবশ্যই সঠিক মাত্রা অনুযায়ী ঘুমানোর আগে মুখ ভালোভাবে সাবান অথবা ফেসওয়াস দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এই নাইট ক্রিম গুলা বাজারে থেকে কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন সেই ক্রিমটি আসল নাকি নকল।